মুন্নাভাই নামেই ব্যাপক পরিচিত বলিউডের একসময়কার নামী অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। ‘সঞ্জুবাবা’, নামেও দর্শকমহলে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। সঞ্জয় এমন একজন অভিনেতা যিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বারবার দর্শকের মন জয় করেছেন। ডেবিউ ছবি ‘রকি’তেই নজর কেড়েছিলেন নার্গিস-পুত্র। যদিও ব্যক্তিগত জীবনের ঝড়ঝাপ্টার কারণে বারবার ক্ষতির মুখে পড়েছে অভিনেতার কেরিয়ার।
বলিউডের এই নামী অভিনেতার কর্মজীবনের মতোই ব্যক্তিগত জীবনও বহুবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে। একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর। ব্যাচেলর অবস্থায় তো বটেই, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরেও প্রেমলীলা থামেনি সঞ্জুবাবার। অনেকেই জানেন না, ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীকে ফেলে এক নামকরা বলিউড নায়িকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পর ছি ছি পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে।
নিজের সুদীর্ঘ কেরিয়ারের সঞ্জয়ের সঙ্গে একাধিক অভিনেত্রীর নাম জড়িয়েছে। সেই তালিকায় নাম ছিল বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিতেরও। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তাঁরা। শোনা যায়, কাজ করতে গিয়েই একে অপরকে মন দিয়ে বসেছিলেন দুই তারকা। সঞ্জয় বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা- একথা জানা সত্ত্বেও নিজেকে আটকাতে পারেননি মাধুরী।
শোনা যায়, ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সুপারহিট ছবি ‘সাজন’র শ্যুটিংয়ের সময় কাছাকাছি আসেন সঞ্জয় এবং মাধুরী। এরপর ‘খলনায়ক’র সময় জমে উঠেছিল তাঁদের প্রেম। একে অপরের সঙ্গে বেশিরভাগ সময় কাটাতে দেখা যেত তাঁদের। তবে তাঁদের প্রেমে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সঞ্জয়ে প্রথম বিয়ে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সঞ্জয় মাধুরীর প্রেমে এতটাই পাগল ছিলেন যে ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। শোনা যায়, মাধুরীর জন্য স্ত্রী রিচা শর্মা এবং মেয়ে ত্রিশলাকে আমেরিকায় একা ফেলে দেশে ফিরে এসেছিলেন অভিনেতা। রিচার কানে একথা উঠতেই তিনি মুম্বাই এসে পৌঁছান। ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী দেশে ফিরে এসেছেন শুনেও অভিনেতা নাকি তাঁকে বিমানবন্দরে নিতে যাননি।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মাধুরীর প্রেমে পড়ে হুঁশজ্ঞান একপ্রকার খুইয়ে ফেলেছিলেন সঞ্জয়। তবে অভিনেত্রীর পরিবার এই সম্পর্কে কথা জানতে পেরে প্রচণ্ড চটে গিয়েছিল। বিবাহিত অভিনেতার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক কিছুতেই মানতে পারেননি তাঁরা। তবুও বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে ছিলেন দু’জনে। তবে মুম্বাই ব্লাস্ট মামলায় সঞ্জয়ের নাম জড়ানোর পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। সেই সঙ্গেই ইতি পড়ে তাঁদের প্রেমপর্বে।
