খবর

শরীরের কালো রঙ দেখিয়েই কোটি কোটি টাকা আয় ‘কুইন অব ডার্ক’র!

Featured Image
মডেল হতে হলে ফর্সা হতে হবে, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছেন দক্ষিণ সুদানের মডেল নায়াকিম গ্যাটওয়েচ। তাকে ‘কুইন অব ডার্ক’ বলা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে ফর্সা হওয়ার জন্য সবাই যখন ফেয়ারনেস ক্রিম এবং প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন, সেখানে নায়াকিম গ্যাটওয়েচ নিজের ত্বক নিয়েই আত্মবিশ্বাসী।

সুন্দরী হতে হলে ফর্সা হতে হবে এমন ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন দক্ষিণ সুদানের মডেল নায়াকিম গ্যাটওয়েচ। কৃষ্ণবর্ণের হয়েও সৌন্দর্য শব্দটি তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। গ্যাটওয়েচ নিজের স্কিন কালারের সাহায্যে কোটি কোটি টাকা আয় করেন।
 
দক্ষিণ সুদানের নিয়াকিম এখন বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে। তার  স্কিন কালার হচ্ছে এই পৃথিবীর সবচেয়ে ডার্ক স্কিন কালার। শ্বেতাঙ্গরা তো বটেই, অন্যরাও বাঁকা চোখে তাকিয়েছে ঐ কৃষ্ণাঙ্গ তরুণীর দিকে। তবে নিয়াকিম কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেননি। মডেল হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। আত্মবিশ্বাস নিয়েই তুলে ধরেছেন নিজেকে।

কয়েক বছর আগে একজন উবার ড্রাইভারের সাথে কথোপকথন প্রকাশ করেন তিনি। উবার ড্রাইভার তাকে প্রশ্ন করেন, ‘কিছু মনে না করলে আপনাকে একটা প্রশ্ন করি? আপনাকে যদি দশ হাজার ডলার দেওয়া হয়, আপনি কি আপনার ত্বক ব্লিচ করে ফর্সা করবেন?’ নায়াকিম হেসে বলেছিলেন, ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ স্বরূপ পাওয়া এই সুন্দর ত্বককে কেন আমি পরিবর্তন করব?’

নায়াকিম সব উপহাস হাসিমুখে উড়িয়ে দেন। যারা রঙের কথা টেনে আনেন, তাদের ঐ গাড়িচালকের গল্প বলেন। যারাই নেতিবাচক মন নিয়ে চলেন, তাদেরই এড়িয়ে চলেন নায়াকিম। তিনি জানান, তার চামড়াও অন্যদের মতোই। নায়াকিম পৃথিবীর অনেক সাদা চামড়ার মডেলের চেয়ে বেশি টাকা আয় করেন। তার সম্পত্তির পরিমাণ হচ্ছে নয় মিলিয়ন ইউ এস ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ কোটি টাকার মতো। তার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যা মিলিয়নের বেশি।

২৪ বছর বয়সী আন্তর্জাতিক এই মডেল এখন ইন্টারনেট কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং জনগণের কাছে ‘কুইন অব ডার্ক’ নামে পরিচিতি পেয়েছেন। বর্তমান যুগে নিজেকে ফর্সা করার জন্য সবাই যেখানে বিভিন্ন দামের ক্রিম থেকে শুরু করে প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজের ত্বক পর্যন্ত পরিবর্তন করে ফেলছেন, সেখানে তিনি পরম আত্মবিশ্বাস নিয়ে তার কৃষ্ণবর্ণের ত্বককেই ভালোবেসে চলেছেন।