খবর

যে কারণে কখনো খোলা হয় না বিশ্বের এই পাঁচটি রহস্যময় দরজা

Featured Image

সারা পৃথিবীতেই রয়েছে এমন সব দরজা, হয় তার পেছনে লুকিয়ে রয়েছে ধনসম্পদ না হয় অজানা কোনও রহস্য বা ইতিহাস। এই সকল কথিত অকথিত দরজাগুলোর ভিতর রয়েছে, যেমন স্বর্গের দরজা, নরকের দরজা। আর এসব দরজা ঘিরেই রয়েছে লোমহর্ষ নানান গল্প কাহিনি। আজ এমনই পাঁচ রহস্যময় দরজার কথা আমরা জানাবো।

চিনের টেরাকোটা সেনাবাহিনীর পাহারারত দরজা

১৯৭৪ সালে চিনের জিংওয়া প্রদেশে এক কৃষক পরিবার পাতকুয়ো খুঁড়তে গিয়ে সন্ধান পান কিছু পোড়া মাটির তৈরি মূর্তির। এরপর সে দেশের আর্কিওলজিক্যাল বিভাগের মানুষজন জায়গাটির গুরুত্ব বুঝে খননকার্য শুরু করলে আবিস্কৃত হয় প্রায় ২০ হাজার বর্গ কিমি জুড়ে টেরাকোটার তৈরি এক বিশাল সেনাবাহিনীর মূর্তি। এই সেনাবাহিনীকে ওই জায়গায় এমনভাবে সাজিয়ে রাখা ছিল যার ফলে তার মাঝখান থেকে একটি দরজা দৃশ্যমান হয়। স্থানীয় মানুষদের বিশ্বাস যে ওই দরজা খুললে গোটা এলাকায় অভিশাপ নেমে আসবে।

গিজার পিরামিড


ইতিহাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য হল মিশরের গিজার পিরামিড। কীভাবে এই পিরামিড ওই সময়ে তৈরি হয়েছিল তার কোনও সদুত্তর আজও নেই গবেষকদের কাছে। তবে আজ পর্যন্ত গিজার পিরামিডের সমস্ত দরজা খোলা হলেও কোনও এক অজানা কারণে একটি দরজা খোলা হয়নি। এমনকী মিশর সরকারের তরফেও নির্দেশিকা জারি করে ওই দরজা খোলার পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রেমের সৌধ তাজমহল

মোঘল সম্রাট শাহজাহান প্রিয় বেগম মুমতাজের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিজের প্রেমের এই স্মারক তৈরি করেছিলেন। এই তাজমহলের মোট দরজার সংখ্যা ১০৮৯। যার মধ্যে বেশকিছু দরজা আজও খুলে দেখা হয়নি। কারও মতে ওই দরজাগুলি খুললে কার্বন মনোঅক্সাইড মার্বেলের সংস্পর্শে এসে তাজের বিখ্যাত চারটি মিনার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আবার অনেকের মতে,  বন্ধ দরজার কোনও একটির পেছনে মুমতাজকে কবর দেওয়া হয়েছিল । দরজা খুললেই নাকি নেমে আসবে ভয়ঙ্কর অভিশাপ।

কেরালার পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের রহস্যময় সপ্তম দরজা

দক্ষিণ ভারতের অন্যতম আলোচ্য মন্দির এই পদ্মনাভস্বামী মন্দির। একে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী মন্দির হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।  সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের ৬টি গোপন কক্ষের দরজা খুলে বিপুল পরিমাণ ধনসম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই মন্দিরের সপ্তম দরজাটি আজও খোলা হয়নি।

বাল্ফ স্প্রিং হোটেলের রহস্যময় কক্ষ


কানাডার বাল্ফ স্প্রিং হোটেলের ৮৭৩ নম্বর কক্ষটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পড়ে আছে। এই প্রসঙ্গে তারা জানান দীর্ঘদিন আগে এক দম্পতি তাদের শিশু সন্তানকে নিয়ে ওই ঘরটিতে ছিলেন। কিন্তু রাত্রিবেলায় লোকটি তার স্ত্রী এবং সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেন। তারপর থেকেই হোটেলের ওই ঘর থেকে নাকি প্রতিরাতে কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। মূলত ভূতের ভয়েই হোটেলের এই ঘরটির দরজা আর খোলা হয় না।