খবর

যেন রংধনুর সাত রঙ এসে মিশেছে নদীর জলে, জানুন এর রহস্য!

Featured Image
সাধারণত আমরা জানি বা দেখি যে নদীর জলের নিজস্ব রং হয় না। তবে প্রাকৃতিক কারণে বা পরিবেশ দূষণের কারণে পানির রঙের তারতম্য হতে পারে। কিন্তু জানেন কি ! কলম্বিয়াতে এমন এক নদী রয়েছে যে নদীতে অনেক রঙের সমাহার আপনি এক সঙ্গে দেখতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, আশ্চর্য সেই সাত রঙের জলের নদীর সম্পর্কে .. 

কলম্বিয়ার অনন্য প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের দেবী হিসাবে, ক্যানো ক্রিস্টালসকে অনেক পরিচয়ে চেনা যায় যেমন "পাঁচ রঙের নদী", "নদী যেটি স্বর্গ থেকে দূরে চলে গেছে" এবং "বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নদী। আপনি জেনে অবাক হবেন যে "কলম্বিয়ার ঐ নদীতে লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, কমলাসহ মোট সাতটি রং একসঙ্গে বইছে। যে দৃশ্য খুব কম মানুষের নজরেই পড়েছে।

অবাক করে দেওয়ার মতো এ নদী অবস্থান করছে কলম্বিয়ার সেরানিয়া দেলা মেকারিন্যা এলাকায়। পাহাড়ের কোল ঘেষে নদীটি অবস্থান করছে। আর বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর এই নদীটির নাম হচ্ছে ক্যানিও ক্রিস্টালস। রঙের বৈচিত্রতার কারণে অনেকেই এই নদীকে ইংরেজিতে বলেন ’রিভার অফ কালার্স’ বা বাংলায় রঙ্গিন নদী। আবার অনেক ব্যক্তি এ নদীকে ’লিকুইড রেনবো’ বা তরল রংধনু বলে অভিহিত করে থাকেন। এ নদীটি অপর দিকে ’মেলটেড রেনবো’ বা গলিত রংধন হিসেবেও পরিচিত।

কখনো রক্তলাল, কখনো উজ্জ্বল নীল আবার গারো সবুজ, হলুদ এমনকি বেগুনি রঙের পাশাপাশি গোলাপী, কমলা, মেরুন রঙের পানী উপভোগ করতে পারবেন। সত্যি বলতে বছরের পর বছর ধরে এ নদীর পানি এভাবেই বয়ে চলেছে। নদীর গর্ভে থাকা এক প্রকার জলজ উদ্ভিদের কারণে এটি রঙিন দেখায়। আসলে ওই উদ্ভিদের নানা রঙ্গের প্রতিফলন নদীর স্রোতে দেখা যায়। সূর্যের আলোতে এটি আরো ঝলমল করে ওঠে।

ঐ উদ্ভিদের নাম হচ্ছে ম্যাকারেনিয়া ক্লাবিগেরা। এই উদ্ভিদটি বেশ পুরনো। এলাকার একাধিক নদীতে এই উদ্ভিদের অবস্থান করছে। নদীতে জলের পরিমাণ খুব বেশি হয়ে গেলে বা জলের পরিমাণ খুব কমে গেলে রঙের বৈচিত্রতা তেমন দেখা যায় না।

নদীটি এমন একটি পাহাড়ি জনপদে অবস্থিত যেখানে খুব বেশি মানুষ বসবাস করে না। তবে নানা অঞ্চল থেকে পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসেন। কলম্বিয়া প্রশাসন এ নদীটিকে সংরক্ষণ করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। তাই আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত সময় থাকে ,তাহলে আপনার প্রিয় সঙ্গিনীকে নিয়ে উপভোগ করে আসতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নদীর সৌন্দর্য।