খবর

দেহদান নয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই হবে জাফরুল্লাহ’র শেষ শয্যা

Featured Image


প্রয়াত চিকিৎসকের একমাত্র ছেলে বারিশ চৌধুরী জানিয়েছেন, সাভারে তার বাবার গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই হবে তার শেষ শয্যা। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেহ দানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা ‘রাজি হননি’।

মঙ্গলবার রাতে ৮২ বছর বয়সে মারা যান মুক্তি সংগ্রামী জাফরুল্লাহ চৌধুরী, যিনি বিলাসী জীবন ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। আর স্বাধীনতার পর পাঁচ দশক ধরে স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে গেছেন।

তার মৃত্যুর পর ছোট বোন আলেয়া চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য মরদেহ দান করার পক্ষে। তিনি কয়েকবার বলেছেন দেহ দান করতে। আমরা তার কথার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”

তবে বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর পর দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জানাজার আগে পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানান ছেলে বারিশ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবার সারা জীবনের ইচ্ছা ছিল যে, তার দেহ দান করা হোক মেডিকেল সায়েন্সের জন্য। আমরাও সন্তান হিসেবে, পরিবারের সদস্য হিসেবে তার এই আশাটা ফুলফিল করতে চেষ্টা করেছিলাম।”

কেন তা পূরণ করা গেল না, সেই ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং জাফরুল্লাহর নিজের গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজকে প্রস্তাব দিলে সেখান থেকে জানানো হয়েছে, তারা কেউ ‘এই দেহে ছুরি লাগাতে পারবে না’।

“এটা একটা সন্মান থেকেই এই বিষয়টা বলা হয়েছে,” বলেন জাফরুল্লাহর ছেলে।

বারিশ চৌধুরী বলেন, “যখন সন্মান থেকে, ভালোবাসা থেকে আমাদেরকে বলা হচ্ছে যে, কেউ হাত দিতে রাজি না, আমাদের আসলে আর কিছু করা নাই সেটা নিয়ে।”

শুক্রবার সাভারে গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানেই জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সমাহিত করা হবে বলে জানান তার ছেলে।