খবর

আরেক পাতাল রেলের কাজ শুরু জুলাইয়ে

Featured Image

ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৫ এর উত্তর পথের নির্মাণ কাজ শুরু হবে আগামী জুলাইতে। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার ২৩ মে প্রথম প্যাকেজের কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মেট্রো রেল বাস্তবায়নকারী সরকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। 

এমআরটি লাইন-৫ এর উত্তর পথের নির্মাণ কাজের মধ্যে প্রথমে ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন কাজ করা হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ১৮৯ কোটি টাকা।

জাপানের টোই এবং বাংলাদেশের স্পেকট্রামের জয়েন্ট ভেঞ্চারে এ রুটের ভূমি উন্নয়নের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করবে। আজ উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মেট্রো রেলের ডিপোতে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। 
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, এমআরটি লাইন-৫ উত্তর পথের নির্মাণকাজ ১০টি প্যাকেজের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। এর মধ্যে প্যাকেজ সিপি-১ (ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন) এ প্যাকেজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

আগামী জুলাইয়ে উদ্বোধনের মাধ্যমে লাইন-৫-এর নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে। গাবতলী, মিরপুর-১০, কচুক্ষেত, বনানী, নতুনবাজার সড়কের নিচ দিয়ে যাবে এ রুটের একটি অংশ। আর হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার এবং নতুনবাজার থেকে ভাটারা অংশ তৈরি করা হবে সড়কের ওপর দিয়ে। পাতাল ও উড়াল সমন্বয়ে লাইনটির দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার।

এর মধ্যে ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল ও ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হবে উড়াল।
এমআরটি-৫-এর পাতাল অংশে ৯টি ও উড়ালে পাঁচটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে মাটির নিচে স্টেশন থাকবে যথাক্রমে গাবতলী, দারুস সালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২ ও নতুনবাজার।

প্রকল্পটির কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা।

এ প্রকল্পেও ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। সরকার দেবে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। 
ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে মেট্রোরেলের পরিকল্পনা, জরিপ, নকশা, অর্থায়ন, নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে ডিএমটিসিএলের আওতায় ৬টি মেট্রো রেলের সমন্বয়ে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে সরকার। 

কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৭টি স্টেশন বিশিষ্ট প্রথম মেট্রো রেলের আংশিক পথ এরই মধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ এবং ২০২৫ সালের জুন মাসে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করতে চায় সরকার। 

২০২৬ সালের মধ্যে কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৯.৮৭ কিলোমিটার পাতাল এবং নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৭ কিলোমিটার উড়াল মিলিয়ে মোট ৩১.২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ২১টি স্টেশন বিশিষ্ট এমআরটি লাইন-১ নির্মাণের লক্ষ্যে বিশাদ নকশা ও ডিপোর ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের দুই ফেব্রুয়ারি দেশের প্রথম পাতাল মেট্রো রেল এমআরটি লাইন-১ নির্মাণের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন সংক্রান্ত প্যাকেজের নির্মাণ কাজ চলছে। অন্যান্য প্যাকেজগুলো দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন আছে। এটিই হবে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রো রেল।