খবর

একটা সময় হতাশায় ডুবে ছিলেন পূর্ণিমা!

Featured Image

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নব্বই দশকে যে ক’জন নায়িকার আবির্ভাব হয় তাদের মধ্যে পূর্ণিমার নামটিও বেশ জোরেশোরে উচ্চারিত হয়। কারণ সে সময়ের সফল চারজন নায়িকার একজন তিনি। দুই যুগেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন এ নায়িকা।

সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতা আর মানবিকতায় পূর্ণিমা অনেকের থেকে এগিয়ে। তবুও দীর্ঘ অভিনয় জীবনে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। এক সময় হতাশায়ও ভুগেছেন তিনি।

অভিনয়ের রজতজয়ন্তীতে এই নায়িকা বলেন, ‘দীর্ঘ অভিনয় জীবনে উত্থান-পতন তো ছিলই। একটা সময় এসে হতাশও হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে উপস্থাপনা দিয়ে আলোচনায় এসে আবারও আমি আমার পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নায়করাজ রাজ্জাক আঙ্কেল আমাকে নিয়ে দু’টি সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। সেই সময়টায় তিনি আমাকে নিয়ে যে ড্রাইভ দিয়েছিলেন, এ জন্য তার কাছে ঋণী।’ পাশাপাশি তার প্রতিটি সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক, সহশিল্পী, টেকনিশিয়ান, সাংবাদিকসহ দর্শকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পূর্ণিমা।

বর্তমানে পূর্ণিমা অভিনীত নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’, ‘জ্যাম’ এবং ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’ নামে তিনটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

পূর্ণিমা ১৯৯৮ সালের ১৫ মে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমায় অভিনয়ে মধ্য দিয়ে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় তার। সেই থেকে শুরু করে ক্যারিয়ারে পার করেছেন ২৫ বছর। অভিনয় করেছেন ৮০টি সিনেমায়। 

এছাড়াও পূর্ণিমার উল্লেখয্গ্যে সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘ধোঁকা’, ‘শিকারী’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘টাকা’, ‘শাস্তি’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না’সহ উপহার দিয়েছেন বহু জনপ্রিয় সিনেমা। 

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একাধিকবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারসহ বেশ কিছু সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপিকা হিসেবেও পূর্ণিমার খ্যাতি আকাশচুম্বী।