ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' মোকাবিলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব প্রস্তুতির পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থার নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার ১৩ মে দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মোখা মোকাবিলা করার জন্য শুক্রবার (১২ মে) রাত ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম চট্টগ্রাম খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে এক জরুরি অনলাইন সভায় মিলিত হন। সেখানে অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক তাদের প্রস্তুতি ও কোনো চাহিদা থাকলে জানতে চান। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের প্রস্তুতির ব্যাপারে মহাপরিচালককে আশ্বস্ত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহাপরিচালক চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু রাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা, মোবাইল যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখা, প্রয়োজনীয় ওষুধের বাফার স্টক প্রস্তুত রাখাসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন।
এসময় তিনি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপকূলীয় হাসপাতালগুলোর যেকোনো চাহিদা তাৎক্ষণিক পূরণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যাবস্থাও নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
খুরশিদ আলম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ প্রস্তুতি
১. পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম গঠন।
২. জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ।
৩. মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি করে আলাদা ওয়ার্ড নিধারণ।
৪. অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা।
৫. জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত সব ছুটি বাতিল।
৬. অপারেশন থিয়েটারগুলো ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রাখা।
৭. পর্যাপ্ত জরুরি ওষুধ সংরক্ষণ।
