খবর

বহুজাতিক কোম্পানির লভ্যাংশ কমে গেল, কিন্তু তারা বলছে ঘুরে দাঁড়াবে

Featured Image

অর্থনীতি ডেস্ক :  

সেপ্টেম্বর থেকে নয় মাসে ১৪ শতাংশ মুনাফা হ্রাস পেয়েছে তা শীঘ্রই কাটিয়ে উঠবে বলে জানায় রেকিট বেনকিজার।

বহুজাতিক কোম্পানি প্রতিষ্ঠানটি তারা ডেটল, স্ট্রেপসিলস এবং হারপিকের মতো জনপ্রিয় পণ্যগুলো দেশের বাহিরে বিক্রি করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে।

মূলত কাঁচামালের মূল্য বাড়ার কারনে  ২১.২৩ শতাংশ উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়েছিল।

বিশ্বস্বাস্থ্য বিভাগে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্রান্ডগুলোর মধ্যে রেকিট বেনকিজার অন্যতম। কোভিট-১৯ প্রাদুর্ভাবের পরে তাদের ব্যবসার বৃদ্ধি হতে দেখা যায়।

করোনা মহামারি শেষ হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিচ্ছে। ফলে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো সেভাবে কিনতে পারছেনা। ক্রয় ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটছে। সাথে সাথে বিশ্ববাজারে কাচাঁমালের দাম বেড়েছে এবং স্থানীয় টাকার মূল্য কমতে শুরু করেছে।


প্রতিষ্ঠানটির সচিব মো: নাজমুল আরেফিন বলেন, কয়েকটি পণ্য থেকে লাভের পরিমান কমানো হয়েছে। বিশেষ করে সাবান, নুডুলসের দাম অনেকটাই কমানো হয়েছে।


এদিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বাজার মূল্য ২৩ শতাংশ । গত বছর যার সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৬২২৩ টাকা। কিন্তু অক্টোবরে শুরু থেকে ৪৭৬০ টাকায়ে নিম্নমুখী হয়ে আছে শেয়ার বাজারে।


সবচেয়ে দামি স্টক হল ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার। তার মূল্য ২৮৪৯ ডলার।


স্টক বিনিয়োগকারীরা মূলত জানতেন যে, করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে রেকিট বেনকিজারের লাভ বেশি হবে। কারণ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত শীর্ষ পণ্যগুলো ছিল রেকিট বেনকিজারের।


প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছিল, ২০১৯ সাল থেকে টানা ৩বছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে তারা সবচেয়ে বেশি আয় করছে। যা বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাজারে প্রলুদ্ধ করেছিল। যার কারণে, শেয়ারের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছিল।


বাংলাদেশের ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, মোটা লভ্যাংশ কোম্পানির আর্থিক শক্তি বাড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, যখন তিন সংখ্যার নগদ লভ্যাংশ ছিল বাজারের জন্যও তা ভালো লক্ষণ ছিল। যা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট করে।

মি. ছাদেক বলেন, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের পর বছর উদার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে এর কারণ এটি তাদের ব্রান্ড মূল্য বাড়াতে সাহায্য করে।


রেকিট বেনকিজারের এক বছর আগে লাভ ছিল ৪৯৭ মিলিয়ন ডলার যা ২০২২সালে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বরে ৪২৮ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। যার ফলে, শেয়ার প্রতি আয় ১০৫.২০ ডলার থেকে কমে হয়েছে ৯০.৫২ ডলার।
যাইহোক, এই বছরে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর মাসে বিক্রয় রাজস্ব ১.০৫ শতাংশ কমে ৩.৭৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।


১৯৮৭ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি গৃহস্থালীর পণ্য, প্রসাধনী সামগ্রী এবং ফার্মাসিউটিক্যালসহ খাদ্য পণ্য বাজারজাত করছে।

২০১৯ সালে বিশেষ করে রেকিটবার সাবান বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং বর্তমানে টয়লেট ক্লিনার বিক্রিতে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।