খবর

‘বিএনপির হলেই ধর্মঘট, যুবলীগের সমাবেশের দিন ধর্মঘট নেই’

Featured Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :


বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে মানুষের ঢল দেখে সরকার ভয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, সমাবেশে যাওয়ার পথে যুবলীগ-ছাত্রলীগ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। সমাবেশগুলোতে এত বাধা দিয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, এর কী জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী?

১৩ নভেম্বর রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত যুবলীগের যুব মহাসমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বাস-মিনিবাস ধর্মঘট ডাকে না, কিন্তু বিএনপির গণসমাবেশের ৩০-৩২ ঘণ্টা আগেই ধর্মঘট ডাকা হয় । এটা কার নির্দেশে ডাকা হয় দেশবাসী-সেটাও জানে।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন বিভাগে চলমান বিএনপির গণসমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়। বিএনপির এই সমাবেশ ঠেকাতে সরকার নিজেদের লোক দিয়ে এই ধর্মঘট ডাকছে বলে জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

তিনি বলেন, আসলে ধর্মঘট যারা ডেকেছে তারা আওয়ামী সমিতির লোক, পরিবহন মালিক সমিতির লোকজন নয়।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন: সরকার ভয় পেয়ে দেশজুড়ে আবারও গ্রেফতার শুরু করেছে। কোনো কিছুই আমাদের ঠেকাতে পারবে না। অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের সব অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন। বিভাগীয় গণসমাবেশের মাধ্যমে তার প্রমাণ দেখেছে দেশবাসী।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমার জানা নেই গুম আর ক্রসফায়ার শব্দ দুটি জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার আমলে কেউ শুনেছে কিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে বোকা মনে করছেন। তিনি জনগণের প্রধানমন্ত্রী নন।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার বাংলাদেশে বলে জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বেকারের কারখানা। শিক্ষিত বেকাররা চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করছেন।

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, বরিশালে গণসমাবেশ শেষ হওয়ার পর গৌরনদী আগৈলঝরায় ২৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যা বিএনপির মালিকানাধীন তা বন্ধ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতারা। এতে প্রশাসনও তাদেরকে সহায়তা করেছে।

রিজভী বলেন, দুটি এনজিও পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে, কারণ এই এনজিওগুলো যারা পরিচালনা করেন তারা বিএনপির সমর্থক।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণের অনেক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদল সভাপতি রুবেল মিয়াকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাই।