খবর

বেইজিংয়ের শান্তি প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল রাশিয়া

Featured Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে চীনের দেওয়া শান্তি প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যকার বিভিন্ন সমস্যা ও মতপার্থক্য রাজনৈতি-কূটনৈতিক পন্থায় সমাধান করতে মস্কো আগ্রহী।

তিনি আরো উল্লেখ করে বলেছেন, নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতার প্রশ্নে রাশিয়া কোনো ছাড় দেবে না ।

শুক্রবার ২৪(ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে জাখারোভা বলেন, ‘ইউক্রেনে সংঘাত বন্ধ করা ও রাজনৈতিক- কূটনৈতিক পন্থায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার যাবতীয় মতপার্থক্য দূর করার যে প্রস্তাব আমাদের চীনা মিত্ররা দিয়েছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি…বেইজিংয়ের এই প্রস্তাবের প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিয়ন্ত্রণাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের তদবির ও তার জেরে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার সেই অভিযানের এক বছর পূর্ণ হয়েছে।

এদিকে, বছরপূর্তির এই দিনেই যুদ্ধ অবসানে নিজেদের শান্তি প্রস্তাবনা দিয়েছে চীন। ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেপার’ নামের ১২টি পয়েন্ট সম্বলিত সেই প্রস্তাবনায় মূলত যুদ্ধবিরতি এবং ধীরে ধীরে প্রতিবেশী দুই দেশের উত্তেজনা নিরসনের পক্ষে বলেছে বেইজিং।


পাশাপাশি, উভয় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারটিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বেইজিংয়ের প্রস্তাবনায়।

গত এক বছরের যুদ্ধে ইউক্রেনের চার প্রদেশ— দনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও ঝাপোরিজ্জিয়া দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। সাথে সাথে সেপ্টেম্বরে এই চার প্রদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্তও করা হয়েছে।

তারপর থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলে আসছেন— রাশিয়া ওই চার প্রদেশ ফিরিয়ে না দিলে মস্কোর সঙ্গে কোনো শান্তি সংলাপে যাবে না কিয়েভ। অন্যদিকে, মস্কো বলছে— দনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও ঝাপোরিজ্জিয়া বর্তমানে রাশিয়ার ভূখণ্ডের অংশ এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে মস্কো কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।

মারিয়া ঝাখারোভার শুক্রবারের বিবৃতিতেও মস্কোর এই অবস্থানের প্রতিধ্বনি পাওয়া গেছে। তিনি বলেছেন, ‘(যুদ্ধ অবসানে) আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে রাজনৈতিক ওকূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রস্তত আছি, তবে অবশ্যই নিজেদের ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো প্রকার ছাড় আমরা দেবো না।’