খবর

বিদেশিদের পদলেহন করার নীতিতে বিএনপি

Featured Image

নিউজ ডেস্ক :

বিএনপি বিদেশিদের পদলেহন করার নীতি অবলম্বন করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুরপাড়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বিদেশিদের পদলেহন নীতি অবলম্বন করেছে। কিন্তু সেটি করেও কোনো লাভ হয়নি। তারা যেভাবে মনে করেছিল বিভিন্ন রাষ্ট্র বা দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের পক্ষে নানা ধরনের কথা বলবেন। কিন্তু সেটি হয়নি। তাদের রাজনীতিটা একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামায়াত ঢাকা শহরে একটা বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুরো ঢাকা শহরজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এরপরও বিএনপির প্রধান সহযোগী জামায়াতে ইসলামি পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। পুলিশ বাহিনীর ধৈর্যের কারণে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি।

বিএনপি এখন আবার ২০১২/১৩ সালের রাজনীতির দিকে যাচ্ছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, তাদের রাজনীতি সেই একই জায়গায় আছে। গত ১০ ডিসেম্বরও তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এখনও সুযোগ পেলে একই কাজ করবে। তারা সেখান থেকে সরে আসতে পারেনি। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।


তিনি বলেন, সকলে দেখেছে পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর সারাদেশ কিভাবে উল্লসিত ছিল। সবাই পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ এমনকি পাকিস্তানও অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপি সেই অনুষ্ঠানে যোগদান করেনি। মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর ঢাকা শহরের মানুষের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস, সেই মেট্রোরেল নিয়েও বিএনপি ধুম্রজাল সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। মানুষের উচ্ছ্বাসে তাদের সেই অপচেষ্টা ভেসে গেছে। সেই কারণে বড় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে। সবশেষে সব ছাপিয়ে মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা বন্দর, চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল, কক্সবাজারসহ সারা দেশজুড়ে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, এতে বাংলাদেশের মানুষ উচ্ছ্বসিত।


চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি'র নমিনেশন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতি মতাদর্শে বিশ্বাস করে এমন যে কেউ নমিনেশন চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনো চিত্রনায়ক-নায়িকা চাইলে সেটি অপরাধ নয়। পাশের বাড়ি পশ্চিম বাংলাসহ ভারতবর্ষে মিডিয়া জগতের অনেককেই নমিনেশন দেওয়া হয়। অবশ্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতাকর্মীদেরই অগ্রাধিকার। পাশাপাশি দলকে আরও অনেক বিষয় বিবেচনায় আনতে হয়।


চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসের স্টাফ রেসপনডেন্ট আবু আজাদকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার হবে বলে জানান হাছান মাহমুদ।


তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিককে মারধর করেছে সেটা আমি জানি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা গ্রেপ্তার হবে। সাংবাদিক হোক আর যেই হোক, কাউকে মারধর করা দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধীদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে।


সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বর্ণনা করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামায়াত ঢাকা শহরে একটা বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুরো শহরজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এরপর বিএনপির প্রধান সহযোগী জামায়াত ইসলামি পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে।


পুলিশের ধৈর্যের কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি তারা। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। দশ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে তারা সেখানে বড়জোড় ৫০/৬০ হাজার মানুষ জমায়েত করতে পেরেছে। এরপর থেকেই বিএনপি আসলে হতাশ। তাদের রাজনীতি পুরোটাই ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। সেই কারণেই তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।