খবর

বিএনপি-জামায়ত গত ১০ ডিসেম্বর বড় হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করেছিল : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

Featured Image

নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি’র বিভাগীয় ঢাকা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০ তারিখ। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বিএনপি-জামায়ত গত ১০ ডিসেম্বরকেন্দ্রিক সারাদেশে বড় ধরনের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করেছিল। একাত্তরের দোসররা এখনও সক্রিয়। তারাই বর্তমানে ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশের এম্বাসিতে ঘুরে ঘুরে সরকার পতনের নীল নকশা করছে।

রাজধানীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান-নিপসমে ১৪ ডিসেম্বর আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই স্বাধীনতা খুবই চড়া মূল্যে পাওয়া। কিন্তু এই স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলণ্ঠিত করতে অনেক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ব্যাংকে টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এরকম গুজব মুক্তিযুদ্ধের সময়েও ছড়ানো হয়েছিল। যারা এখনও বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি, তারা প্রতিশোধ নিয়েছে জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। এখনও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য পরাজিত শক্তি কাজ করে যাচ্ছে। রাজাকার সাকা চৌধুরীর ছেলে যেভাবে নারায়ে তকবির স্লোগান দেয়, এতে বুঝাই যায় তারা থেমে থাকেনি। এমনকি আমাদের জাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে।

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, অসংখ্য প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যারা ব্যর্থ ছিল তারাই এখন সফলতার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তাদের রুখে দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনিদের বিচার করেছি, কিন্তু যারা হুকুমদাতা ছিল তারাও কিন্তু খুনি। তাদের কিন্তু আমরা কিছু করতে পারছি না। তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা পর্দার পেছনের লোকদের খুব বেশি মনে করি না। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মনে করি, কিন্তু তারা শহীদ হওয়ার পর তাদের পরিবার কী অবস্থায় জীবনযাপন করেন, সেটি আমরা খুঁজে দেখি না। তারা অনেক সংগ্রাম করছে, তাদের পাশেও আমাদের দাঁড়াতে হবে।

উপাচার্য বলেন, আমরা যদি নিজ নিজ এলাকায় গরীব রোগীদের সেবা দেই, তাহলে কিন্তু অনেকেই উপকৃত হয়। তেমনিভাবে যুদ্ধাহত পরিবার যেগুলো রয়েছে তাদেরও একটু খোঁজ নিতে হবে। আজকে যারা বসতি হারানোর শঙ্কায় আছে, তাদের বসতির নিশ্চয়তা আমাদের দিতে হবে।