খবর

পুরনো রক্ত মিশিয়ে গরুর মাংস বিক্রি

Featured Image

নিউজ ডেস্ক:

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাদল সরদার নামে এক ব্যক্তি ফ্রিজে গরুর মাংস সংরক্ষণ করে তাতে পুরোনো রক্ত মিশিয়ে তাজা মাংস বলে বিক্রির অপরাধে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাখাওয়াত হোসেন মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলা সদর বাজারে অভিযান চালান। এসময় বাদলকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা গরুর মাংসে রক্ত মিশিয়ে বিক্রির অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মাংস বিক্রেতা বাদল সরদার পাশের গৌরনদী উপজেলার লাখেরাজ কসবা গ্রামের মজিবর সরদারের ছেলে। তিনি আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে গরুর মাংস বিক্রি করেন।

ইউএনও মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ক্রেতাদের অভিযোগ ছিল ফ্রিজে সংরক্ষণ করা গরুর মাংসে পুরোনো রক্ত মিশিয়ে তাজা মাংস বলে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ পেয়ে তিনি সেখানে যান।

বাদল সরদারের দোকানে গিয়ে একটি পলিথিনের মধ্যে পুরোনো রক্ত এবং ফ্রিজে সংরক্ষণ করা গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখতে পান। এসময় মাংসের রং দেখে সন্দেহ হলে জানতে চাইলে বাদল বিষয়টি প্রথমে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বাদল। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বাদল জানান, ফ্রিজে মাংস রাখলে ওই মাংস সাদা হয়ে যায়। তাই ফ্রিজে রাখা পুরোনো রক্ত মিশিয়ে তাজা গরুর মাংস বলে বিক্রি করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এটা ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা। ফ্রিজে রাখা গরুর মাংসে পুরোনো রক্ত মিশিয়ে তাজা মাংস বলে বিক্রির অপরাধে বাদল সরদারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, রঙ লাল ও তাজা দেখাতে পুরাতন রক্ত মিশিয়ে মাংস বিক্রি করা হচ্ছিল। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তিনি কোথাও এ ধরনের মাংস বিক্রি করতে দেখলে ক্রেতাদের প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ করেন।