খবর

নিউজিল্যান্ডে প্রবল ঝড়-এর কারণে বিদ্যুৎবিহীন অর্ধ লক্ষাধিক ঘর-বাড়ি

Featured Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম শহর অকল্যান্ড, নর্থ আইল্যান্ড তার আশপাশের এলাকায় ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলার প্রভাবে দমকা হওয়া, প্রবল বর্ষণ ও জলোচ্ছাস শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে ৫৮ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শনিবার রাতের দিকে অস্ট্রেলিয়ার তাসমান সাগরে নরফোক দ্বীপপুঞ্জের কাছে ঘনীভূত হয় গ্যাব্রিয়েলা। বর্তমানে এই ঘূর্নিঝড়টি নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের কাছাকাছি রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন,গ্যাব্রিয়েলা সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা কিংবা মঙ্গলবার ভোরের দিকে নিউজিল্যান্ডের উপকূলে আছড়ে পড়ার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে ।

নিউজিল্যান্ডের সরকারি দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের অকল্যান্ড শাখার উপপ্রধান র‌্যাচেল কেলেহার সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন অকল্যান্ড ও তার আশপাশের এলাকায় যে আবহওয়া বিরাজ করছে, সেটিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রাথমিক স্তর বলা চলে। সোমবার দিনের শেষে কিংবা মঙ্গলবার সকালের দিকে নিউজিল্যান্ডের উপকূলে সেটি আছড়ে পড়বে এই গ্যাব্রিয়েলা ।’

তিনি আরো বলেন ‘আমাদের প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিতে হবে। এখন নিশ্চিন্ত হয়ে চুপচাপ বসে থাকার সময় নয়,’।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইতোমধ্যে অকল্যান্ড এবং নর্থ আইল্যান্ডে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সরকারি কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত সাধারণ লোকজনকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও জানিয়েছে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া ও অকল্যান্ডসহ আরও ৪ অঞ্চলে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া দপ্তর মেটসার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ১২ ঘণ্টায় অকল্যান্ড ও তার আশপাশের এলাকায় ১০০ দশমিক ৫ মিলিমিটার (৪ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছেন তারা। এ সময়ে অকল্যান্ডের সাগরের তীরবর্তী এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৯ কিলোমিটার (১০০ মাইল)।

এদিকে, প্রচণ্ড বাতাস ও প্রবল বৃষ্টির প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অকল্যান্ড, নর্থ আইল্যান্ড ও তার আসপাশের এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। রোববার রাত থেকে ৫৮ হাজারেরও বেশি বাড়িঘরে বিদ্যুৎ নেই।

নিউজিল্যান্ডের দুর্যোগ মোকাবিলা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিরেন ম্যাকুয়েনাল্টি সিএনএনকে বলেন,বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিমান, বাস, ফেরি ও ট্রেন যোগাযোগ খুবই সীমিত পর্যায়ে চলছে।