খবর

তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়াল

Featured Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার করার জন্য এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকার্মীরা। ভূমিকম্পের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় কারনে জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

 

জার্মান উদ্ধারকারীরা এবং অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনী স্থানীয় সময় শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অনুসন্ধান অভিযান স্থগিত করেছেন।
একটি অপরিচিত গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেছেন। যদিও সংঘর্ষের কারণ জানাননি উদ্ধারকারীরা।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উদ্ধারকারী বলেছেন, খাদ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় কারনে নিরাপত্তা আরও খারাপ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় লুটপাটের অভিযোগে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি বন্দুক জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে কেউ আইন ভঙ্গ করলে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করবেন তিনি।

 
অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন,এই প্রদেশে অজ্ঞাত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে অস্ট্রিয়ান ফোর্সেস ডিজাস্টার রিলিফ ইউনিটের কয়েক ডজন কর্মী অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একটি বেস ক্যাম্পে আশ্রয় চেয়েছেন।

এক বিবৃতিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিয়েরে কুগেলওয়েস বলেছেন, তুরস্কে দলগুলোর মধ্যে আগ্রাসন বাড়ছে। একটি জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা নিরাপত্তা ঝুঁকির সাথে কোনো যুক্তিসঙ্গত সম্পর্ক বহন করে না।

অস্ট্রিয়া উদ্ধার প্রচেষ্টা স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টা পরে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তুর্কি সেনাবাহিনীরা সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। উদ্ধার অভিযান আবার পুনরায় শুরু করার অনুমতি দিয়েছে তারা।

সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ গ্রুপ আইএসএআর এবং জার্মানির ফেডারেল এজেন্সি ফর টেকনিক্যাল রিলিফের (টিএসডব্লিউ) জার্মান শাখাও নিরাপত্তা উদ্বেগ উল্লেখ করে অপারেশন স্থগিত করেছে।

আইএসএআরের মুখপাত্র স্টেফান হাইন বলেছেন, বিভিন্ন দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং গুলিও চালানো হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তুর্কি কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিরাপদ মনে করার সঙ্গে সঙ্গে আবার কাজ শুরু করবে জার্মান উদ্ধারকারীরা