নিউজ ডেস্ক:
সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাইর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর শুরু হয়ে শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে লাখ লাখ মুসল্লিদের আধ্যাত্মিক এ মিলনমেলা সমাপ্ত হয়।
দলটি পাঠ্যপুস্তক বাতিল ও সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এছাড়া আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা এর সাথে তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়।
সমাপনী অধিবেশনে বলা হয়, বাংলাদেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সর্বস্তরে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে। আমরা ইসলামকে বিজয়ী করার মাধ্যমে দেশের মানুষের সামনে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য উপস্থাপন করতে চাই। অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক বিবর্তনবাদসহ অসঙ্গতিতে ভরা পাঠ্য সিলেবাসের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এমন পাঠ্য সিলেবাস ৯২ ভাগ মুসলমানদের দেশে চলতে দেওয়া যাবে না।
সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে চরমোনাই মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়া আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চরমোনাই মাহফিলে আগত মুসল্লিদের মধ্য থেকে ১৭,৫৪২ জন মাহফিলের অস্থায়ী হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। তবে চরমোনাই মাহফিলে আসা মুসল্লিদের মধ্যে মোট ৮ জন বার্ধক্যজনিত কারণ ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বলে চরমোনাই মাহফিল হাসপাতাল (সিএমএইচ) কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।