আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে কোনভাবেই যেন হামলা করা না হয়, সেজন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে হোয়াইট হাউস সতর্ক করে আসছে। এবারে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি জন কিরবি ইউক্রেনকে নির্দেশনা দিয়েছেন রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে আঘাত না করার জন্য।
সম্প্রতি ইউক্রেনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্সেই দানিলভ বলেছেন, প্রয়োজনে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা চালাবে।
রাশিয়া প্রেসিডিন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আমাদের ভূখণ্ডে আঘাত আসলে আমরা পরমানু অস্ত্র ব্যবহার না করার নীতি থেকে সরে আসবো।
এরপরেই জন কিবরি ইউক্রেনকে এই নির্দেশনা দেন। ১১ ডিসেম্বর এবিসি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই আমরা ইউক্রেন বাহিনীকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে আঘাত করতে উৎসাহ দেবো না, বাধ্যও করব না। আমরা এই শর্তেই ইউক্রেনকে সহযোগিতা করছি— তার যেন বাইরের আক্রমণ থেকে নিজ ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে পারে।
তার এই কথার প্রতিক্রিয়ায় রোববার এ বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের এই কর্মকর্তা। সাক্ষাৎকারে জন কিরবি আরও বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই এই যুদ্ধ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং বলে আসছি— এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া আমাদের কারোরই উচিত হবে না, যা ইউক্রেন-রাশিয়া বা বৃহৎ অর্থে এই বৈশ্বিক মানব সভ্যতার জন্য হুমকির কারণ হয়ে ওঠে।’
চলতি মাসে রাশিয়ার দু’টি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যে ঘাঁটিগুলোতে হামলা করা হয়েছে, সেগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে শত শত মাইল দূরে, রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে।
ওই আঘাতের পরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছিলেন— রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে না।
বিশ্বের একক দেশ হিসেবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত আছে রাশিয়ার। দেশটির অস্ত্রাগারে প্রায় ৬ হাজার বিভিন্ন পাল্লার পরমাণু বোমা আছে।