খবর

অবৈধ বসতি সরাতে গিয়ে মানুষসহ ঘরে আগুন দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট

Featured Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি বাড়ির ভেতর মানুষসহ আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে এক ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের বিরুদ্ধে।


উত্তর প্রদেশের কানপুর দেহাট বিভাগের মাধুলি নামক একটি গ্রামে অবৈধ বসতি অপসারণে বুলডোজার ও পুলিশসহ গিয়েছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট গনেশ্বর প্রসাদ।

এনডিটিভি আরো জানায়, ওই আগুনে পুড়ে প্রমিলা দিক্সিত নামের ৪৫ বছর বয়সী এক নারী ও নেহা নামের ২০ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে । তারা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। ওই সময় ঘরের অন্যরা তাদের বাঁচাতে গিয়ে দ্বগ্ধ হয়েছেন।

 

প্রথমে স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ওই মা-মেয়ে নিজেরাই নিজ ঘরে আগুন দিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট, স্টেশন হাউজ অফিসার এবং বুলডোজার অপারেটর। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা এবং এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিসাধনের মামলাও করা হয়েছে।

 

একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদে অভিযানে গিয়েছিলেন।


যে মাধুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে হঠাৎ বুলডোজার নিয়ে তাদের গ্রামে উপস্থিত হয় পুলিশ। উচ্ছেদের আগে তাদের কাছে কোনো নোটিশ পাঠানো হয়নি।

আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া নারীর ছেলে শিভাম দিক্সিত বলেছেন, ‘মানুষ ভেতরে থাকা অবস্থায় তারা ঘরে আগুন লাগাতে থাকে। আমরা কোনোমতে বের হতে পেরেছি । তারা আমাদের মন্দির ভেঙে ফেলেছে। কেউ কিছু করেনি, এমনকি বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটও না। সবাই পালিয়ে যায়, কেউ আমার মাকে বাঁচাতে পারেনি।’

এদিকে ওই অঞ্চলের পুলিশ কর্মকর্তা এসপি মুর্থি জানিয়েছেন, তারা জানতে পেরেছেন ওই নারী ও কিশোরী নিজ ঘরেই আগুন দিয়েছেন। কিন্তু এখন অন্য ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদি তা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বর্তমানে ওই গ্রামে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনার পর পুলিশকে লক্ষ্য করে সাধারণ মানুষ ইট পাটকেল ছোড়েন। এরপর সেখান থেকে পুলিশ সরে যায়।

সূত্র: এনডিটিভি