
নিউজ ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার সকালে যশোর বিমান বাহিনী একাডেমিতে ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ ২০২২’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো গতিশীল এবং নিরাপদ আছে। ‘আমরা অনেক কাজ করে যাচ্ছিলাম। তবে কোডিভ-১৯, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, যার কারণে সারা বিশ্বব্যাপী মন্দা দেখা দিয়েছে। এই মন্দা থেকে আমরা যেন উত্তরণ ঘটাতে পারি সে বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সজাগ। আমাদের অর্থনীতি এখনো গতিশীল আছে, নিরাপদ আছে সেটুকু অন্তত আমি বলতে পারি। ’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগ সরকার বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা এই একাডেমিতে একদিন বলেছিলেন— ইনশাল্লাহ এমন দিন আসবে আমাদের একাডেমির নাম শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নয়, সমগ্র দুনিয়াতে সমান অর্জন করবে। আজকে আমরা দেখি অন্যান্য দেশ থেকেও আসছে, ট্রেনিং নিচ্ছে। যেমন নেপাল, ফিলিস্তিন, গাম্বিয়ার অফিসাররা এখানে এসেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকার সব সময় বিমান বাহিনীর সদস্যদের সার্বিক দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ ও আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই, আমাদের ক্যাডেটদের জীবন আরো সুন্দর হোক। শুধু অপারেশন ও প্রশিক্ষণই নয়, আমরা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী কল্যাণকর পদক্ষেপও নিয়েছি। ’
বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেন আমাদের ক্যাডেটদের নিয়ে গর্ব করতে পারি। শান্তিরক্ষা মিশনে আমরা কাজ করি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চলতে হয় তাই প্রশিক্ষণের ওপর সব থেকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রশিক্ষণ উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে, এই কথাটা সব সময় মনে রাখতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘যে কোনো একটা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য জনগণের আস্থা-বিশ্বাস একান্তভাবে দরকার হয়। তাছাড়া আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমরা বিশ্বাস করি এই নীতিতে যে, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। তারপরও দক্ষতার দিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের সব ধরনের উৎকর্ষতা বজায় রেখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। ’
নবীন ক্যাডেটদের দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ মাতৃকার প্রতি ও দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। যেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তার ভাষণেও বলেছেন যে, দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। নবীন যারা আজকে কর্মস্থলে যোগ দেবে তাদের জন্য এই কথাটা প্রযোজ্য।