খবর

গাইবান্ধার ভোটে নিরপেক্ষতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে প্রশাসন

Featured Image

নিউজ ডেস্ক :

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন মাঠ প্রশাসন নিরপেক্ষতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। ভোটের শুরুটাও সুন্দর ছিল, শেষটাও চমৎকার ছিল।


বুধবার (৪ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে উপ- নির্বাচন শেষে তিনি সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।


সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেদিক থেকে নির্বাচনটা সফল হয়েছে। গড়ে ৩৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।

তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে কোনো ধীরগতি ছিল না। সে রকম কোনো অভিযোগও ছিল না। সিসিটিভি ক্যামেরা প্রসঙ্গে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটি নতুন সংযোজন। এটি অনেক তিক্ষণ, সুক্ষ্ম ও কার্যকর হচ্ছে। প্রার্থীরাও গুরুত্ব দিচ্ছেন। কেন্দ্রের ভেতরে অনিয়ম হলে তারা সচেতন আছে। ইলেকটোরাল গভার্নেন্স এ জিনিসটা ঘটেছে।


এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অসন্তুষ্ট হতাম যদি কেউ বলতো ভোট দিতে যেতে বাধা দিচ্ছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে ভোটার কম হয়েছে বলে মনে হয়েছে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। সংসদ নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবো কি করবো না সে সিদ্ধান্ত এখনো নেইনি।


অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, মাঠে যে প্রশাসন আছে, পুলিশ প্রশাসন দায়িত্বে থাকবে, তাদের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। ভোটে অত্যন্ত নিরপেক্ষ থেকে যে, পুলিশ, প্রশাসন ও আমাদের কর্মকর্তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন আজকেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।


তিনি বলেন, গত ১২ অক্টোবর কিন্তু কেন্দ্রের বাইরে গণ্ডগোল হয়নি। সেজন্য আমরা তাদের দায়ী করতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছি এতে আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। জাতীয় নির্বাচনে সেটা আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশাকরি।


গত ১২ অক্টোবর অনিয়মের কারণে যাদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তা কার্যকর হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষে থেকে এখনো কোনো উত্তর পাইনি। তারা সিদ্ধান্ত কার্যকর করে এক মাসের মধ্যে আমাদের জানাবে। তবে চিঠি পেতেই যদি এক মাস লেগে যায়, তাহলে দেরি হবে ।


গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এ আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়ায় পুরো ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর দায়ীদের চিহ্নিত করে ১৩৩ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির সিদ্ধান্ত দেয়। পরে ৪ জানুয়ারি ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করে সংস্থাটি।