খবর

কমবে হীরা-সোনার চাহিদা, কমবে ধাতুর দাম 

Featured Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :


ধাতুর দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পরে কিছুটা কমতে পারে। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ধাতব মূল্য সূচক ২০২৩ সালে ৭শতাংশ নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এরপরও সেটি হবে প্রাক-মহামারি সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।


দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে অর্থনৈতিক অনটনের কারণে হীরা ও সোনা’র চাহিদা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। উত্তর আমেরিকায় ইস্পাত ব্যবহারের পরিমাণ আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হবে। তবে চীনের বাড়তি ব্যয় নির্মাণ ও উৎপাদন খাতে প্রয়োজনীয় ধাতুর চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী রাখতে সাহায্য করবে।


ধারণা করা হচ্ছে, চীন এবং ইউরোপে জ্বালানির উচ্চমূল্য এছাড়াও বিদ্যুৎ সংকট অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাত, দস্তাসহ বিভিন্ন ধাতুর উত্পাদন বাধাগ্রস্ত করতে পারে। যা স্ক্র্যাপ ধাতু-রপ্তানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে সরকারকে প্ররোচিত করবে পারে।

এ বছরে রুশ ধাতু সরবরাহকারীরা ইউক্রেন ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সীমিত করতে একীভূত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

এ বছরে সবুজ জ্বালানি এবং ডিজিটাইশনের প্রভাবের কারণে তামাসহ বিভিন্ন ধাতুর চাহিদা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাড়তি চাহিদা লিথিয়াম, নিকেল ও বিরল খনিজগুলোর ব্যবহার বাড়িয়ে দেবে।

অল্পদিনের মধ্যে অস্ট্রেলীয় মাইনিং কোম্পানি আমেরিকান রেয়ার আর্থস যুক্তরাষ্ট্রের হ্যালেক ক্রিক সাইটের ফলাফল প্রকাশ করতে যাচ্ছে। সেখানে ব্যাটারি শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭টি বিরল খনিজের ১০০ কোটি টন মজুত খুঁজে পাওয়ার আশা করা হচ্ছে৷

চীন ও রাশিয়াতে আরও বিরল খনিজ পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় দেশগুলো এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে।