খবর

আইফোন জনপ্রিয়তার কারণ কি?

Featured Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:

সূচনালগ্ন থেকেই আইফোন জনপ্রিয়। অ্যাপলের সাবেক সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস প্রথম আইফোন অবমুক্ত করেন ৯ জানুয়ারি ২০০৭ সালে। আইফোনের বাজারজাতকরণ শুরু হয় জুন মাসে। সেই থেকে আইফোন স্টোরের সামনে গ্রাহকের লাইন ধরার প্রচলন শুরু হয়েছে।

২০২২ সালে প্রকাশিত বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সূচনালগ্ন থেকে অ্যাপলের শেয়ারদর ৫ হাজার ৮শঁত শতাংশ গুনে বৃদ্ধি পায়। ২০০৭ সালে অ্যাপলের শেয়ার দর ছিল ১৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালে এসে জানুয়ারিতে ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মাইলফলক স্পর্শ করে প্রতিষ্ঠানটি।

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া গেজেট আইফোন। যা অনন্য ফোনের তুলনায় বাজারে মূল্যবান, রোমাঞ্চকর এবং আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময়ের ফসল।

আইফোন জনপ্রিয়তার পিছনে প্রধার কারণগুলো-

ইনোভেশন
অ্যাপল প্রতিষ্ঠানটি যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে টাচস্ক্রিন আবিস্কার করেনি, তবে তারা সর্বপ্রথম স্পর্শের মাধ্যমে ফোন নিয়ন্ত্রণ করার ইন্টারফেস ইনোভেট করে। আইফোন ২০০৭ সালে অরিজিনালের মোড়ক উন্মোচন-কালে ৩টা বৈপ্লবিক প্রযুক্তির সমন্বিত একটা ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসেন। তৎকালীন ফোন থেকে এই ফোনটি আইফোনটিকে ৫ বছর এগিয়ে রেখেছিলেন জবস। সেই ধারাবাহিকতায় আদ্য-বদি আইফোন একের পরে এক অভিনব প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। আইফোন প্রতিবছর তাদের প্রযুক্তি আপডেট করে ক্রুটির সমাধান করে নতুন ভার্সন নিয়ে আসছে। স্মার্টফোনের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতি ফোনের তালিকায়ও এর স্থান শীর্ষে। শোনা যাচ্ছে, আসন্ন ১৫ সিরিজে চমক নিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।


অ্যাপ স্টোর
আইফোনের তুমুল জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আইফোনের নিজস্ব অ্যাপ স্টোর। ডিভাইসের সাথে সফটওয়্যার একীভূত করতে ও ব্যবহারকারীদেরকে দরকারি অ্যাপগুলো সহজে ইনস্টল করতে অ্যাপ স্টোর তৈরি করেছে। বর্তমাসে অ্যাপ স্টোরে ২ মিলিয়নের বেশি অ্যাপ রয়েছে।

সুরক্ষা ব্যবস্থা
আইফোন তাদের অ্যাপ স্টোরে থাকা সকল অ্যাপগুলো খুবই নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করে। আইফোন অ্যাপ স্টোরে অ্যাপ কম হলেও নিরাপত্তা অন্যদের থেকে বেশি নিশ্চিত করেছে তারা। যেহেতু নিজস্ব ইকোসিস্টেম ব্যবহার হয়েছে তাই সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে আইফোনকে অনেক বেশি সুরক্ষিত করতে সক্ষম।


মার্কেটিং ও ব্রান্ডিং
বর্তমান বিশ্বে পণ্যের গুণগত মানের পাশাপাশি ব্রান্ডিং ও মার্কেটিং সবচেয়ে বেশি জরুরি। মার্কেটিং কিভাবে করতে হবে তা আইফোন খুব ভালো করে জানে। ২০১৮ সালে প্রকাশ করা ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বে টানা দশমবারের মতো 'সিএমও সার্ভে এওয়ার্ড ফর মার্কেটিং এক্সিলেন্সি' বিজয়ী হলো আইফোন।


ডিজাইন ও স্থায়িত্ব
অ্যাপল তাদের ফোনের ডিজাইন খুবই সাদামাটা রাখলেও দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। তাদের ফোনগুলো কয়েকটা রংয়ে সাদামাটা হলেও এরই মধ্যে যেন আভিজাত্যের ছোঁয়া লেগে থাকে। যার ফলে প্রতিটা দেশের, প্রতিটা সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে যায়, মানুষের আবেগে স্থান করে নেয় ফোনটি।

অনন্য ফোনের স্থায়িত্বের দিক থেকে আইফোনের স্থায়িত্ব অনেক বেশি। ফলে ফোন ব্যবহারকারী আইফোনের প্রতি অনেকটা বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।